Quran Bengali TranslationSurah Al Ma'arij |
In the name of Allah, Most Gracious, Most Merciful
1 |
سَأَلَ سَائِلٌ بِعَذَابٍ وَاقِعٍ একব্যক্তি চাইল, সেই আযাব সংঘটিত হোক যা অবধারিত- |
2 |
لِلْكَافِرِينَ لَيْسَ لَهُ دَافِعٌ কাফেরদের জন্যে, যার প্রতিরোধকারী কেউ নেই। |
3 |
مِنَ اللَّهِ ذِي الْمَعَارِجِ তা আসবে আল্লাহ তা’আলার পক্ষ থেকে, যিনি সমুন্নত মর্তবার অধিকারী। |
4 |
تَعْرُجُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ إِلَيْهِ فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ ফেরেশতাগণ এবং রূহ আল্লাহ তা’আলার দিকে উর্ধ্বগামী হয় এমন একদিনে, যার পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার বছর। |
5 |
فَاصْبِرْ صَبْرًا جَمِيلًا অতএব, আপনি উত্তম সবর করুন। |
6 |
إِنَّهُمْ يَرَوْنَهُ بَعِيدًا তারা এই আযাবকে সুদূরপরাহত মনে করে, |
7 |
وَنَرَاهُ قَرِيبًا আর আমি একে আসন্ন দেখছি। |
8 |
يَوْمَ تَكُونُ السَّمَاءُ كَالْمُهْلِ সেদিন আকাশ হবে গলিত তামার মত। |
9 |
وَتَكُونُ الْجِبَالُ كَالْعِهْنِ এবং পর্বতসমূহ হবে রঙ্গীন পশমের মত, |
10 |
وَلَا يَسْأَلُ حَمِيمٌ حَمِيمًا বন্ধু বন্ধুর খবর নিবে না। |
11 |
يُبَصَّرُونَهُمْ ۚ যদিও একে অপরকে দেখতে পাবে। يَوَدُّ الْمُجْرِمُ لَوْ يَفْتَدِي مِنْ عَذَابِ يَوْمِئِذٍ بِبَنِيهِ সেদিন গোনাহগার ব্যক্তি পনস্বরূপ দিতে চাইবে তার সন্তান-সন্ততিকে, |
12 |
وَصَاحِبَتِهِ وَأَخِيهِ তার স্ত্রীকে, তার ভ্রাতাকে, |
13 |
وَفَصِيلَتِهِ الَّتِي تُؤْوِيهِ তার গোষ্ঠীকে, যারা তাকে আশ্রয় দিত। |
14 |
وَمَنْ فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا ثُمَّ يُنْجِيهِ এবং পৃথিবীর সবকিছুকে, অতঃপর নিজেকে রক্ষা করতে চাইবে। |
15 |
كَلَّا ۖ إِنَّهَا لَظَى কখনই নয়। নিশ্চয় এটা লেলিহান অগ্নি। |
16 |
نَزَّاعَةً لِلشَّوَى যা চামড়া তুলে দিবে। |
17 |
تَدْعُو مَنْ أَدْبَرَ وَتَوَلَّى সে সেই ব্যক্তিকে ডাকবে যে সত্যের প্রতি পৃষ্ঠপ্রদর্শন করেছিল ও বিমুখ হয়েছিল। |
18 |
وَجَمَعَ فَأَوْعَى সম্পদ পুঞ্জীভূত করেছিল, অতঃপর আগলিয়ে রেখেছিল। |
19 |
إِنَّ الْإِنْسَانَ خُلِقَ هَلُوعًا মানুষ তো সৃজিত হয়েছে ভীরুরূপে। |
20 |
إِذَا مَسَّهُ الشَّرُّ جَزُوعًا যখন তাকে অনিষ্ট স্পর্শ করে, তখন সে হা-হুতাশ করে। |
21 |
وَإِذَا مَسَّهُ الْخَيْرُ مَنُوعًا আর যখন কল্যাণপ্রাপ্ত হয়, তখন কৃপণ হয়ে যায়। |
22 |
إِلَّا الْمُصَلِّينَ তবে তারা স্বতন্ত্র, যারা নামায আদায় কারী। |
23 |
الَّذِينَ هُمْ عَلَى صَلَاتِهِمْ دَائِمُونَ যারা তাদের নামাযে সার্বক্ষণিক কায়েম থাকে। |
24 |
وَالَّذِينَ فِي أَمْوَالِهِمْ حَقٌّ مَعْلُومٌ এবং যাদের ধন-সম্পদে নির্ধারিত হক আছে |
25 |
لِلسَّائِلِ وَالْمَحْرُومِ যাঞ্ছাকারী ও বঞ্চিতের |
26 |
وَالَّذِينَ يُصَدِّقُونَ بِيَوْمِ الدِّينِ এবং যারা প্রতিফল দিবসকে সত্য বলে বিশ্বাস করে। |
27 |
وَالَّذِينَ هُمْ مِنْ عَذَابِ رَبِّهِمْ مُشْفِقُونَ এবং যারা তাদের পালনকর্তার শাস্তির সম্পর্কে ভীত-কম্পিত। |
28 |
إِنَّ عَذَابَ رَبِّهِمْ غَيْرُ مَأْمُونٍ নিশ্চয় তাদের পালনকর্তার শাস্তি থেকে নিঃশঙ্কা থাকা যায় না। |
29 |
وَالَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَافِظُونَ এবং যারা তাদের যৌন-অঙ্গকে সংযত রাখে |
30 |
إِلَّا عَلَى أَزْوَاجِهِمْ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ فَإِنَّهُمْ غَيْرُ مَلُومِينَ কিন্তু তাদের স্ত্রী অথবা মালিকানাভূক্ত দাসীদের বেলায় তিরস্কৃত হবে না। |
31 |
فَمَنِ ابْتَغَى وَرَاءَ ذَلِكَ فَأُولَئِكَ هُمُ الْعَادُونَ অতএব, যারা এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করে, তারাই সীমালংঘনকারী। |
32 |
وَالَّذِينَ هُمْ لِأَمَانَاتِهِمْ وَعَهْدِهِمْ رَاعُونَ এবং যারা তাদের আমানত ও অঙ্গীকার রক্ষা করে |
33 |
وَالَّذِينَ هُمْ بِشَهَادَاتِهِمْ قَائِمُونَ এবং যারা তাদের সাক্ষ্যদানে সরল-নিষ্ঠাবান |
34 |
وَالَّذِينَ هُمْ عَلَى صَلَاتِهِمْ يُحَافِظُونَ এবং যারা তাদের নামাযে যত্নবান, |
35 |
أُولَئِكَ فِي جَنَّاتٍ مُكْرَمُونَ তারাই জান্নাতে সম্মানিত হবে। |
36 |
فَمَالِ الَّذِينَ كَفَرُوا قِبَلَكَ مُهْطِعِينَ অতএব, কাফেরদের কি হল যে, তারাআপনার দিকে উর্ধ্বশ্বাসে ছুটে আসছে। |
37 |
عَنِ الْيَمِينِ وَعَنِ الشِّمَالِ عِزِينَ ডান ও বামদিক থেকে দলে দলে। |
38 |
أَيَطْمَعُ كُلُّ امْرِئٍ مِنْهُمْ أَنْ يُدْخَلَ جَنَّةَ نَعِيمٍ তাদের প্রত্যেকেই কি আশা করে যে, তাকে নেয়ামতের জান্নাতে দাখিল করা হবে? |
39 |
كَلَّا ۖ إِنَّا خَلَقْنَاهُمْ مِمَّا يَعْلَمُونَ কখনই নয়, আমি তাদেরকে এমন বস্তু দ্বারা সৃষ্টি করেছি, যা তারা জানে। |
40 |
فَلَا أُقْسِمُ بِرَبِّ الْمَشَارِقِ وَالْمَغَارِبِ إِنَّا لَقَادِرُونَ আমি শপথ করছি উদয়াচল ও অস্তাচলসমূহের পালনকর্তার, নিশ্চয়ই আমি সক্ষম! |
41 |
عَلَى أَنْ نُبَدِّلَ خَيْرًا مِنْهُمْ وَمَا نَحْنُ بِمَسْبُوقِينَ তাদের পরিবর্তে উৎকৃষ্টতর মানুষ সৃষ্টি করতে এবং এটা আমার সাধ্যের অতীত নয়। |
42 |
فَذَرْهُمْ يَخُوضُوا وَيَلْعَبُواحَتَّى يُلَاقُوا يَوْمَهُمُ الَّذِي يُوعَدُونَ অতএব, আপনি তাদেরকে ছেড়ে দিন, তারা বাকবিতন্ডা ও ক্রীড়া-কৌতুক করুক সেই দিবসের সম্মুখীন হওয়া পর্যন্ত, যে দিবসের ওয়াদা তাদের সাথে করা হচ্ছে। |
43 |
يَوْمَ يَخْرُجُونَ مِنَ الْأَجْدَاثِ سِرَاعًا كَأَنَّهُمْ إِلَى نُصُبٍ يُوفِضُونَ সে দিন তারা কবর থেকে দ্রুতবেগে বের হবে, যেন তারা কোন এক লক্ষ্যস্থলের দিকে ছুটে যাচ্ছে। |
44 |
خَاشِعَةً أَبْصَارُهُمْ تَرْهَقُهُمْ ذِلَّةٌ ۚ তাদের দৃষ্টি থাকবে অবনমিত; তারা হবে হীনতাগ্রস্ত। ذَلِكَ الْيَوْمُ الَّذِي كَانُوا يُوعَدُونَ এটাই সেইদিন, যার ওয়াদা তাদেরকে দেয়া হত। ********* |
© Copy Rights: Zahid Javed Rana, Abid Javed Rana, Lahore, Pakistan Email: cmaj37@gmail.com |
Visits wef Aug 2024 |