কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে আল্লাহর পক্ষ থেকে,
যিনি পরাক্রমশালী,
সর্বজ্ঞ।
3.
পাপ ক্ষমাকারী,
তওবা কবুলকারী,
কঠোর শাস্তিদাতা ও সামর্থ দাতা
(এর নিতেন)
তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই।
তাঁরই দিকে হবে প্রত্যাবর্তন।
4.
কাফেররাই কেবল আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে বিতর্ক করে।
কাজেই নগরীসমূহে তাদের বিচরণ যেন আপনাকে বিভ্রান্তিতে না ফেলে।
5.
তাদের পূর্বে নূহের সম্প্রদায় মিথ্যারোপ করেছিল,
আর তাদের পরে অন্য অনেক দল
ও প্রত্যেক সম্প্রদায় নিজ নিজ পয়গম্বরকে আক্রমণ করার ইচ্ছা
করেছিল
এবং তারা মিথ্যা বিতর্কে প্রবৃত্ত হয়েছিল,
যেন সত্যধর্মকে ব্যর্থ করে দিতে পারে।
অতঃপর আমি তাদেরকে পাকড়াও করলাম।
কেমন ছিল আমার শাস্তি।
6.
এভাবে কাফেরদের বেলায় আপনার পালনকর্তার এ বাক্য সত্য হল যে,
তারা জাহান্নামী।
7.
যারা আরশ বহন করে এবং যারা তার চারপাশে আছে,
তারা তাদের পালনকর্তার সপ্রশংস পবিত্রতা বর্ণনা করে,
তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং মুমিনদের জন্যে ক্ষমা
প্রার্থনা করে বলে,
হে আমাদের পালনকর্তা,
আপনার রহমত ও জ্ঞান সবকিছুতে পরিব্যাপ্ত।
অতএব,
যারা তওবা করে এবং আপনার পথে চলে,
তাদেরকে ক্ষমা করুন এবং জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করুন।
8.
হে আমাদের পালনকর্তা,
আর তাদেরকে দাখিল করুন চিরকাল বসবাসের জান্নাতে,
যার ওয়াদা আপনি তাদেরকে দিয়েছেন এবং তাদের বাপ-দাদা,
পতি-পত্নী ও সন্তানদের মধ্যে যারা সৎকর্ম
করে তাদেরকে।
নিশ্চয় আপনি পরাক্রমশালী,
প্রজ্ঞাময়।
9.
এবং আপনি তাদেরকে অমঙ্গল থেকে রক্ষা করুন।
আপনি যাকে সেদিন অমঙ্গল থেকে রক্ষা করবেন,
তার প্রতি অনুগ্রহই করবেন।
এটাই মহাসাফল্য।
10.
যারা কাফের তাদেরকে উচ্চঃস্বরে বলা হবে,
তোমাদের নিজেদের প্রতি তোমাদের আজকের এ ক্ষোভ অপেক্ষা
আল্লার ক্ষোভ অধিক ছিল,
যখন তোমাদেরকে ঈমান আনতে বলা হয়েছিল,
অতঃপর তোমরা কুফরী করছিল।
11.
তারা বলবে হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি আমাদেরকে দু’বার
মৃত্যু দিয়েছেন এবং দু’
বার জীবন দিয়েছেন।
এখন আমাদের অপরাধ স্বীকার করছি।
অতঃপর এখন ও নিস্কৃতির কোন উপায় আছে কি?
12.
তোমাদের এ বিপদ এ কারণে যে,
যখন এক আল্লাহকে ডাকা হত,
তখন তোমরা কাফের হয়ে যেতে
যখন তার সাথে শরীককে ডাকা হত তখন তোমরা বিশ্বাস স্থাপন করতে।
এখন আদেশ তাই,
যা আল্লাহ করবেন,
যিনি সর্বোচ্চ,
মহান।
13.
তিনিই তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শনাবলী দেখান এবং তোমাদের জন্যে
আকাশ থেকে নাযিল করেন রুযী।
চিন্তা-ভাবনা তারাই করে,
যারা আল্লাহর দিকে রুজু থাকে।
14.
অতএব,
তোমরা আল্লাহকে খাঁটি বিশ্বাস সহকারে ডাক,
যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে।
15.
তিনিই সুউচ্চ মর্যাদার অধিকারী,
আরশের মালিক,
তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার প্রতি ইচ্ছা তত্ত্বপূর্ণ বিষয়াদি
নাযিল করেন,
যাতে সে সাক্ষাতের দিন সম্পর্কে সকলকে সতর্ক করে।
16.
যেদিন তারা বের হয়ে পড়বে,
আল্লাহর কাছে তাদের কিছুই গোপন থাকবে না।
আজ রাজত্ব কার?
এক প্রবল পরাক্রান্ত আল্লাহর।
17.
আজ প্রত্যেকেই তার কৃতকর্মের প্রতিদান পাবে।
আজ যুলুম নেই।
নিশ্চয় আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী।
18.
আপনি তাদেরকে আসন্ন দিন সম্পর্কে সতর্ক করুন,
যখন প্রাণ কন্ঠাগত হবে,
দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে।
পাপিষ্ঠদের জন্যে কোন বন্ধু নেই এবং সুপারিশকারীও নেই;
যার সুপারিশ গ্রাহ্য হবে।
19.
চোখের চুরি এবং অন্তরের গোপন বিষয় তিনি জানেন।
20.
আল্লাহ ফয়সালা করেন সঠিকভাবে,
আল্লাহর পরিবর্তে তারা যাদেরকে ডাকে,
তারা কিছুই ফয়সালা করে না।
নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু শুনেন,
সবকিছু দেখেন।
21.
তারা কি দেশ-বিদেশ ভ্রমণ করে না,
যাতে দেখত তাদের পূর্বসুরিদের কি পরিণাম হয়েছে?
তাদের শক্তি ও কীর্তি পৃথিবীতে এদের অপেক্ষা অধিকতর ছিল।
অতঃপর আল্লাহ তাদেরকে তাদের গোনাহের কারণে ধৃত করেছিলেন
এবং আল্লাহ থেকে তাদেরকে রক্ষাকারী কেউ হয়নি।
22.
এর কারণ এই যে,
তাদের কাছে তাদের রসূলগণ সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী নিয়ে আগমন করত,
অতঃপর তারা কাফের হয়ে যায়,
তখন আল্লাহ তাদের ধৃত করেন।
নিশ্চয় তিনি শক্তিধর,
কঠোর শাস্তিদাতা।
23.
আমি আমার নিদর্শনাবলী ও স্পষ্ট প্রমাণসহ মূসাকে প্রেরণ করেছি।
24.
ফেরাউন,
হামান ও কারুণের কাছে,
অতঃপর তারা বলল,
সে তো জাদুকর,
মিথ্যাবাদী।
25.
অতঃপর মূসা যখন আমার কাছ থেকে সত্যসহ তাদের কাছে পৌঁছাল;
তখন তারা বলল,
যারা তার সঙ্গী হয়ে বিশ্বাস স্থাপন করেছে,
তাদের পুত্র সন্তানদেরকে হত্যা কর,
আর তাদের নারীদেরকে জীবিত রাখ।
কাফেরদের চক্রান্ত ব্যর্থই হয়েছে।
26.
ফেরাউন বলল;
তোমরা আমাকে ছাড়,
মূসাকে হত্যা করতে দাও,
ডাকুক সে তার পালনকর্তাকে!
আমি আশংকা করি যে,
সে তোমাদের ধর্ম পরিবর্তন করে দেবে অথবা সে দেশময় বিপর্যয়
সৃষ্টি করবে।
27.
মূসা বলল,
যারা হিসাব দিবসে বিশ্বাস করে না এমন প্রত্যেক অহংকারী থেকে
আমি আমার ও তোমাদের পালনকর্তার আশ্রয় নিয়ে নিয়েছি।
28.
ফেরাউন গোত্রের এক মুমিন ব্যক্তি,
যে তার ঈমান গোপন রাখত,
সে বলল,
তোমরা কি একজনকে এজন্যে হত্যা করবে যে,
সে বলে,
আমার পালনকর্তা আল্লাহ,
অথচ সে তোমাদের পালনকর্তার নিকট থেকে স্পষ্ট প্রমাণসহ
তোমাদের নিকট আগমন করেছে?
যদি সে মিথ্যাবাদী হয়,
তবে তার মিথ্যাবাদিতা তার উপরই চাপবে,
আর যদি সে সত্যবাদী হয়,
তবে সে যে শাস্তির কথা বলছে,
তার কিছু না কিছু তোমাদের উপর পড়বেই।
নিশ্চয় আল্লাহ সীমালংঘনকারী,
মিথ্যাবাদীকে পথ প্রদর্শন করেন না।